নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নির্বিঘ্নে চলছে পরিবেশ বিধ্বংসী ১৫টি ইটভাটার কার্যক্রম। এর মাঝে বেশ কয়েকটিি অবৈধ। প্রশাসনের কঠোরতার অভাবকে পুঁজি করে অবৈধ এসব ইটভাটা চলছে বছরের পর বছর ধরে।
এসব ইটভাটার বেশিরভাগই কৃষিজমি,বসতবাড়ি, ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বৈধ-অবৈধ বেশ কয়টি ইটভাটাতেই জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে কাট। আর কোনটিতে নিম্নমানের কয়লা পোড়ানোর কারণে মারাত্মক বায়ুদূষণ হচ্ছে। বিষাক্ত ধোঁয়ায় আম, লিচু, নারিকেল, ধানসহ মৌসুমি ফল ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে টিনশেড ঘরের চাল।এ ছাড়াও ফসলী জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি কেটে নিয়ে তা দিয়ে ইট তৈরি করায় উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে ফসলি জমি। সুস্থ পরিবেশের জন্য এসব ইটভাটা এখন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়াও অধিকাংশ ইটভাটার নেই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র। জেলাপ্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে নাসিরনগরে ২৪ টি আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে নাসিরনগরে ১৫ টি ইটভাটার সন্ধান পাওয়া গেছে।আর বাকী গুলো বিভিন্ন কারনে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সালমা,ও শাহেনা নামের ইটভাটা দুটিতে গিয়ে দেখা গেছে,এখানে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।তাছাড়াও চাপড়তলা ইউনিয়নের উড়িয়াইন রহিমা ইটভাটা গিয়ে জুট দিয়ে ইট পোড়াতে দেখা যায়।তাছাড়াও হরিপুর ইউনিয়নের দুটি ইটভাটার বিরোদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে স্থানীয় জনগণের লিখিত অভিযোগও রয়েছে। প্রতিটি ইটভাটাই ফসলি জমির মাঝখানে স্থাপন করা। প্রতিটি ইটভাটার ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে রয়েছে জনবসতি । এ ছাড়াও বেশ কয়টি ইটভাটার ৫০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।আর এ সমস্ত ইটভাটায় ফসলী জমির উর্বরা মাঠি নিয়ে তৈরী করা হচ্ছে ইট।যার ফলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমা বলেন,নাসিরনগরের কয়েকটি ইটভাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা উর্ধতন কতৃর্পক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।আপনাদের হিসেব মতে নাসিরনগরে কতটি ইটভাটা রয়েছে জবাবে তিনি জানান সঠিক হিসাবটি আমার জানা নেই।আপনি এক সময় অফিসে এসে জেনে নিয়েন।