দাঁতের সমস্যা হলে যে শুধু দাঁত পড়ে যেতে পারে বা দাঁত ক্ষয়ে যেতে পারে এমন নয়, এ জন্য অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। তাই এই বিষয়টিকে মোটেও অবহেলা করার সুযোগ নেই। সঠিক নিয়ম মেনে দাঁতের যত্ন নিলে দাঁত সুন্দর ও মজবুত থাকবে বহুদিন।
দাঁত শরীরের এক অতি প্রয়োজনীয় অংশ, যা খাবার চিবানো এবং খাবার হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। মুখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে ৩টি অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক নিয়মগুলো।
দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম
দাঁত সুস্থ রাখতে পরিষ্কার রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখার আদি এবং অকৃত্রিম পন্থা হলো ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা। খাওয়ার পর খাবারের ছোট ছোট অংশ থেকে যায় দাঁতের খাঁজে। সেগুলো সারা দিন, সারা রাত মুখের মধ্যে থেকে পঁচে গেলে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করতে পারে। তাই চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিবার খাওয়ার পর না হলেও সারা দিনে অন্তত দু’বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এক থেকে দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করতে হবে। এর বেশিও নয়, কমও নয়। আবার খুব চেপে বা জোরে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না। এতে ক্ষয় হতে পারে এনামেলের।
গার্গল করা
শুধু সর্দি বা কাশির জন্য নয়, মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গার্গল করা প্রয়োজন। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার, ফলের রস বা ঠান্ডা নরম পানীয় খাওয়ার পর মুখের লালার পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হয়। গার্গল করলে যা আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসে। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে অম্লভাব কাটাতে হবে। কারণ এই থেকেই দাঁতের ক্ষতি হয় বেশি।
ফ্লসিং
দাঁতকে সুস্থ রাখতে ও মজবুত করার জন্য ফ্লসিং করার পরমর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সরু সুতার সাহায্যে দুটি দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার বের করে নেয়ার পদ্ধতিতেই বলা হয় ফ্লসিং। প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ সম্ভব না হলে মুখ ধুয়ে নিয়ে করা যেতে পারে ফ্লস। এই পদ্ধতিতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারের টুকরা বেরিয়ে আসে সহজেই। তবে সবাই ফ্লসের পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত নন। সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে বা চিকিৎসকের কাছ থেকে শিখে নেয়াই ভালো।