বাংলাদেশের কাছে শীতের কাপড়, ওষুধ, খাবার সহায়তা চেয়েছে তুরস্ক
শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে লণ্ডভণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্ক বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চেয়েছে। সহায়তা হিসেবে দেশটি খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশের কাছে। তবে নগদ কোনো অর্থ সহায়তা নেবে না তারা। কারণ তাদের কোনো অ্যাকাউন্ট নেই বাংলাদেশে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সহায়তা চাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।বর্তমানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের ১০টি প্রদেশে চলছে উদ্ধার অভিযান। মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত তুরস্কের দূতাবাস।তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সহায়তা চাই আমরা।’
এসময় বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তুর্কী রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। এতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।’
রাষ্ট্রদূত তুরান আরও জানান, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তা সামগ্রী নিতে চাই। আমাদেরকে শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনো খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে। তবে টিকা অফিস কোনো নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না। কেননা এখানে তাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সে কারণে অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হবে।’
প্রসংগত, তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে- কাহরামানমারাস প্রদেশসহ দেশটিতে গত সোমবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ১৩ হাজারের মতো নিহত এবং কমপক্ষে ৬৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ হাজার মানুষকে।স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে।
তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে ঠিক কত লোক আটকা পড়েছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। স্বাভাবিক কারণেই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িতরা।