ক্লাসিকোয় চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পিএসজি। নেইমারের বাড়ানো বলে নুনো মেন্দেসের বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মার্সেই গোলরক্ষক পাও লোপেস।
ছয় মিনিট পর দারুণ ব্লকে মার্সেইকে এগিয়ে যেতে দেননি মেন্দেস। ষোড়শ মিনিটে মালিনোভস্কির শট ঠেকিয়ে পিএসজির ত্রাতা গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৩১তম মিনিটে এগিয়ে যায় মার্সেই। ঠাণ্ডা মাথার স্পট কিকে ইতালিয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সানচেস। চেঙ্গিস আন্দারকে অভিজ্ঞ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোস ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল মার্সেই।
৩৮তম মিনিটে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। দুই মিনিট পর আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ফ্লিক থেকে বল পেয়ে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিলেন নেইমার। চোট কাটিয়ে ফেরা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বাঁকানো শট ব্যর্থ হয় দূরের পোস্টে লেগে।
পাল্টা আক্রমণে সানচেসের শট হাত বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। পরের মিনিটে আন্দারের শট যায় ক্রসবার ঘেঁষে।
এক মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় পিএসজি। মাঝমাঠে বল পেয়ে কয়েক জনের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নেন মেসি। মার্সেইয়ের এক জনের গায়ে লেগে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। নেইমারের চমৎকার কর্নারে লাফিয়ে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন রামোস। এরপরই বাজে বিরতির বাঁশি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় মার্সেই। নিজেদের অর্ধে থ্রো-ইনে ডি-বক্সের কাছে বল হারিয়ে বিপদ ডেকে আনে পিএসজি। সানচেসের শট জটলার মধ্যে একজন ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মালিনোভস্কি।
সমতা ফেরাতে একের পর এক আক্রমণে স্বাগতিকদের ভীষণভাবে চেপে ধরে পিএসজি। তবে অসাধারণ দৃঢ়তায় সব ঠেকিয়ে দেয় মার্সেই। একেবারে শেষ দিকে গিয়ে গোলরক্ষকের কিছুটা পরীক্ষা নিতে পারে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেন্দেসের শট ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে! তিনি শট নেওয়ার সময় অকারণেই অফসাইড পজিশন ছিলেন রামোস। ফিরতি বল তিনি জালে পাঠালেও তাই মেলেনি গোল। নষ্ট হয় সুবর্ণ সুযোগ।
পরের মিনিটে মেসির দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে হেড করেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। তবে সেটা যায় একদম গোলরক্ষক বরাবর। সহজেই ফেরান লোপেস। তাতে ফরাসি শেষ ষোলোতেই থেমে যায় মেসি-নেইমারদের পথ চলা।
মেসি- নেইমার- এমবাপ্পেদের মতো তারকা থাকার পরেও ফরাসি কাপ থেকে বিদায় নিলো পিএসজি।যদিও চোটের কারনে দলে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি কাপের চলতির আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার অভাব প্রবলভাবে অনুভব করে পিএসজি।