তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এ পর্যন্ত তিন হাজার ৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধার অভিযান চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
ভূমিকম্পে তুরস্কের দুই হাজার ৩৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ চলছে।
দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৪ হাজার ৪৮৩ জন আহত হয়েছেন। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময় ও পরে দেশটিতে চার হাজার ৭৪৮টি ভবন ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় তুরস্কে দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।