ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র-১৪২৯’। দুই বাংলার চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদর্শিত হবে গত বছরে দেশের সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’।
গতকাল রোববার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সঞ্চালক হাবিবা রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘সিনেমা আমাদের বাস্তব জীবনেরই বহিঃপ্রকাশ। এ থেকে আমরা ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ শিক্ষা পাই।’
উৎসবের প্রথমদিনে আলমগীর কবির পরিচালিত ‘সীমানা পেরিয়ে’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্দা উঠল এবারের আসরের। এ ছাড়া প্রদর্শিত হয় ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শায়লা আক্তার লুমুন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই আমি এই আয়োজন উপভোগ করতে আসি। বড় স্ক্রিনে চলচ্চিত্র প্রদর্শন, সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহার- সব মিলিয়ে এই উৎসবের আমেজই ভিন্ন।’
উৎসবে আজ সকাল ১০টায় প্রদর্শিত হবে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, দুপুর ১টায় শাহিন দিল-রিয়াজ পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘শিল্প শহর স্বপ্নলোক’, বেলা সাড়ে ৩টায় ইয়াসমিন কবির পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘পরবাসী মন আমার’, সুবর্ণা সেঁজুতি পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঢেউ’ এবং একই সঙ্গে প্রদর্শিত হবে মিতালী রায় পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দূরে’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রদর্শিত হবে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’।
পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে দুই বাংলার সমসাময়িক ও ধ্রুপদী ১৮টি চলচ্চিত্র, দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও দুটি প্রামাণ্যচিত্র। এবারের আসরে উৎসব সহযোগী হিসেবে রয়েছে এস কিউ গ্রুপ। প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে চ্যানেল আই, দ্য রিপোর্ট.লাইভ এবং দৈনিক বাংলা। প্রদর্শন সহযোগী হিসেবে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।