যে পাঁচ খাবার খেলে কমতে পারে স্মৃতিশক্তি

খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের গঠন ও স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে এমন খাদ্যাভ্যাস দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমে সাহায্য করতে পারে। কীভাবে খাদ্যতালিকাগত উপাদানগুলো মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে এই পাঁচটি খাবার এড়িয়ে চলাই। যদিও আপনার খাদ্য তালিকা থেকে এগুলো পুরোপুরি বাদ দেওয়া কঠিন তাই সংযম অপরিহার্য।

ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত তেল যা সাধারণত সয়াবিন, ভুট্টা, রেপসিড (কানোলা তেলের উত্স), তুলা বীজ, সূর্যমুখী এবং সাফলোয়ার বীজ থেকে নিষ্কাশিত হয়। ওমেগা-৬ শরীরে এমন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে পারে যা অতিরিক্ত খাওয়া হলে মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। নারকেল, অ্যাভোকাডো অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ব্রেইন হেলথকে সমর্থন করে এমন খাবারের মধ্যে রয়েছে পাতাযুক্ত সবুজ, রঙিন ফল এবং শাকসবজি, সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, মটরশুটি এবং বীজ জাতীয় খাবার।

ডিপ ফ্রায়েড, নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবারগুলোকে সবচেয়ে আরামদায়ক খাবার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কিন্তু সেগুলো হয়তো মস্তিস্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। এর পরিবর্তে আপনার প্রিয় খাবারের বেকড, এয়ার-ফ্রাইড অথবা স্টাইড সংস্করণ বেছে নিন।

কৃত্রিম মিষ্টি, যার কোন পুষ্টি মূল্য নেই তা খারাপ, গাট ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করতে পারে। এটা আপনার মেজাজের উপর একটি মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এই মিষ্টিগুলো মধ্যে রয়েছে স্টভিয়া, স্যাকারিন এবং সুক্রালোজ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে অ্যাঙজাইটি এবং পক্ষপাত বেড়ে বিপদ বাড়াতে পারে।

আমাদের ডিএনএতে ক্যাপ নামে পরিচিত তা সম্ভবত আল্ট্রা-প্রক্রিয়াজাত খাবারে ভারী খাদ্যের ফলে তৈরি। সুস্থ কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে টেলোমায়ার দৈর্ঘ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টেলোমেয়ারগুলো কম হলে আমরা হয়তো নিউরোডেজেনারেটিভ ডিজঅর্ডারগুলোতে আরো সংবেদনশীল হতে পারি।

More From Author

টিএসসিতে আসছে ‘হাওয়া’

ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *