কুবি প্রতিনিধি:
সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের ৯ জনের বিরুদ্ধে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি দিপক চন্দ্র মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মো: মহসিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
এছাড়াও ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন ও কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে, সাংগঠনিক সকল কাজে বিশৃঙ্খলা ও মিথ্যা-গুজব ছড়ানোসহ একাধিক অপরাধের সাথে সরাসরি ও প্রত্যক্ষ জড়িত থাকায় গনিত বিভাগের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর (আপগ্রেড) এ কে এম কামরুল হাসানের সদস্যপদ বাতিল ও পরিষদের ২ টি নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
একই অভিযোগে অভিযুক্ত রসায়ন বিভাগের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট (আপগ্রেড) নাছির উদ্দিন ও বাংলা বিভাগের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর (আপগ্রেড) মো: জিয়াউর রহমানের সদস্যপদ স্থগিত ও পরিষদের ১টি নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
একই অভিযোগে অভিযুক্ত মার্কেটিং বিভাগের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর মো: হাবিবুর রহমান ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম ডাটা প্রসেসর (আপগ্রেড) মো: আবদুল কাদেরের সদস্যপদ বহাল রেখে ১টি নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
তাছাড়া উল্লিখিত অভিযোগে ইন্ধনকারী হিসেবে অভিযুক্ত ফার্মেসী বিভাগের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট (আপগ্রেড) মো. আবদুল আউয়ালকে সদস্যপদ বাতিল ও অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়।
এস্টেট শাখার বাগান মালী মো. সামছু মিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং পরিবহন শাখার ড্রাইভার মো: শাহিনুর হোসেন ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের ডেসপার্স ক্লার্ক মো: আবুল বাসারকে সাধারণ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে তিরস্কৃত করা হয়।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সাংগঠনিক অপরাধে শাস্তি প্রাপ্ত কোন কর্মচারী অপরাধের দায় স্বীকার করে কার্যনির্বাহী পরিষদ বরাবর আবেদন করে শাস্তি পুনঃবিবেচনা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলারোধে গঠিত তদন্ত কমিটি কর্তৃক গত ৯ জানুয়ারি দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।