ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের মাইজখোলা গ্রামের এক প্রতিবন্ধির মা ভিক্ষুক স্বামী পরিত্যাক্তা মমতাজ বেগমকে জমি কেনার কথা বলে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে মমতাজ বেগম দীর্ঘ দিন যাবৎ ঢাকার তাতি বাজার এলাকা থেকে তার প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা সঞ্চয় করে। ভিক্ষুক স্বামী পরিত্যাক্তা মমতাজ বেগমের টাকার লোভসামলাতে না পেরে তার স্বামীর ভাই মোঃ ইয়াছিন মিয়া (৪০) ও ছালেক মিয়া (৩০) মিলে পরিকল্পনা করে মমতাজ বেগমকে তাদের গ্রামে বাড়ি করার জায়গা কিনে দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে প্রথমে এক লক্ষ ও পরে আরো ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মমতাজ বেগম টাকা বুঝিয়ে দিয়ে জায়গা রেজিস্ট্রী করার কথা বললে তারা জমি রেজিস্ট্রী করিয়া না দিয়ে গুরাইতে থাকে। ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় এলকার ইউপি মেম্বার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট অভিযোক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে অভিযোগ করে মমতাজ বেগম। বাড়ি ফেরার পথে হাসেম মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়া (৪০) ছালেক মিয়া (৩০) মোতালিব মিয়া ছেলে জয়নাল মিয়া (৫৫) মিলে মমতাজ বেগমের পথ রোদ করে রাস্তায় আটক করে এলুপাতারি কিল ঘুষি লাথি মারিয়া শক্ত ফোলা জখম করে। এ সময় বিবাদীরা মমতাজ বেগমের চুলে মুটিতে ধরে মাটিতে ফেলে টেনে হেছড়ে বিবস্ত্র করে শ্রীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় মমতাজ বেগমের গলে থাকা আট আনা স্বর্ণের একটি চেইন মূল প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা চিনাইয়া নিয়া যায়। মমতাজ বেগমের আত্ম চিৎকারে আশ পাশের লোকজন দৌরে এসে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে। এ সময় উল্লেখিত বিবাদীরা মমতাজকে প্রাণ নাশের হুককি দেয়। ঘটনার পর নাসিরনগর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করানো হয়। এ বিষয়ে ভিক্ষুক মমতাজ বেগম বাদী হয়ে হাসিম মিয়া ছেলে ইয়াছিন মিয়া (৪০) ছালেক মিয়া (৩০) ও মোতালিব মিয়া ছেলে জয়নাল মিয়া (৫৫) এর নামে নাসিরনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের এ এস আই মোঃ আউলাদ হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন। বিবাদীদের ভয়ে ভিক্ষুক মমতাজ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। মমতাজ বেগম জানায় বিবাদীরা সন্ত্রাসী,প্রভাবশালী, লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক।তারা যে কোন সময় মমতাজ বেগমকে মেরে লাশ গুম করে ফেলতে পারেন।